কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে বখাটেদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে ক্ষোভ ও অপমানে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী। গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার টানা তিনদিন ধরে বখাটে আকাশ, আরমান ও ইমনের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী ও বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীর ভর্তি ফরম আনতে যায় শান্তা আক্তার (১৫)। এসময় আকাশ, আরমান ও ইমন নামের তিন বখাটে মেয়েটিকে জোর করে স্কুলের পিছনে একটি পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে যায় ও যৌন নিপীড়ন চালায়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয় বখাটে ওই তিন যুবক। এ ঘটনার অপমান সহ্য করতে না পেরে মোছা. শান্তা আক্তার (১৫) গত শনিবার আত্মহত্যা করে। এলাকায় আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে স্কুলে হামলা, বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় নিহত ছাত্রী শান্তার মা শাহানা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে শাহানা আক্তার বলেন, স্থানীয় বখাটে আকাশ, আরমান ও ইমন দীর্ঘদিন নানাভাবে উত্যক্ত করছিল, বখাটেরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন ভয়ে কথা বলে না। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও বখাটেদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যৌন নিপীড়নের সঠিক বিচার না পেয়ে ক্ষোভ ও অপমানে আমার মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আমি বখাটেদের ফাঁসি দাবি করছি। এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, বখাটেদের উত্যক্তের কারণে মেয়েটি অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করে। মেয়েটির ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।