কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের কাহারোলে চারদিকে দিগন্তজুড়ে গ্রামীণ মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে আমন ধানের। চারদিকেই সবুজের সমারোহ। ধানের চারা থেকে বের হয়েছে শীষ। সেই ধানে ভরা সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। চারিদিকে মৌ-মৌ গাছের সু-বাতাসে বইছে। ধানের ফলন দেখে মন ভরে উঠেছে উপজেলার কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ সাদেক জানান, চলতি আমন মৌসুমে অত্র উপজেলায় এবার লক্ষ্যেমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমি। আর অর্জন হয়েছে ১৫ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। জমিতে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়তই মাঠে গিয়ে কৃষকদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবছর আমন ধানের আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। তাই গতবারের চেয়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এ অঞ্চলে কৃষকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চারিদিকে সবুজ ধানের আবাদে মাঠ ভরে উঠেছে ধানে ধানে। আধা পাকা ধানের মাঠ জুড়ে দুলছে সোনালী ধানের শীষ। এদিকে কিছু কিছু এলাকায় ধান কেটে মাড়াই ঝাড়াই করে ঘরে তুলতে সময় পার করছে কৃষক-কৃষাণীরা। আবার অন্যদিকে কৃষকেরা পোকা দমনে ফসলের মানবদেহের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে পাচিং পদ্ধতি শুরু করেছে তারা। ফসলের বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা দমনে খাদক পাখি পাচিং-এ বসে মাঝে মাঝে লাফিয়ে লাফিয়ে পোকা ধরছে আর খাচ্ছে ক্ষতিকর পোকা। উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সরঞ্জা গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মোঃ মোমেন চৌধুরী বলেন, গত বছর ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর উন্নতজাতের ধান জমিতে চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় গতবারের তুলনায় এবার আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও বেশি পাবো আশা করছি। যদি ধানের দাম বেশি থাকে তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। উপজেলার কৃষকদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সচেতন করা হচ্ছে কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে যেন কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারে।