ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছে। এসময় তাকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বলছে, রাতেই লম্পট মিজানকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে ও ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মিজানের এমন অনৈতিক কাজ নতুন নয়। আগেও সে আলাইপুর গ্রামের আলুকদিয়াপাড়ার দাসপাড়ায় এসে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর একই ধরনের কাজ করে ধরা পড়ে। সর্বশেষ গত রোববার গভীর রাতে গ্রামের অমরেশ দাসের বাড়িতে যায় সে। অমরেশ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শুয়েছিলেন। এসময় ঘরের দরজা খোলা পেয়ে মিজানুর ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীর শরীরে থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। টের পেয়ে অমরেশ মিজানুর রহমানকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলে চিৎকার দেয়। এসময় আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উলঙ্গ অবস্থায় গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি ও তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে একটি কক্ষে শুয়েছিলেন। হঠাৎ মিজানুর রহমান ঘরে ঢুকে তার শরীরের উপর থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। পরে তিনি ও তার স্বামী মিজানুরকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে চিৎকার দেন। তিনি বলেন, মিজানুর জোরপূর্বক তার সাথে অনৈতিক কাজ করতে চেয়েছিল।
স্বামী অমরেশ দাস বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোন্তাজ আলী জানান, রাতে তাদের গ্রামের এক হিন্দু পরিবারে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে মিজানুর। তিনি যাওয়ার আগেই পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, অভিযুক্ত মিজানুরকে আটক করা হয়েছে। তার নামে একটি মামলা হয়েছে।