মোঃ মোক্তাদির হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে দুই যাত্রীবাহী বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৫/৩০ জন যাত্রী আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। গত রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কের নলছাটা নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। কয়েকজন যাত্রী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে উত্তরা পরিবহন বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে আসার পথে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কের নলছাটা নামক স্থানে পৌঁছলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুটি বাস রাস্তার দুই পাশে খাদে পড়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দূর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে। উভয় বাসের প্রায় ২৫/৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। দূর্ঘটনার পর কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম একযোগে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন জানান, রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ও ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। এখনো পর্যন্ত নিহত হয়েছে এমন কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি। রেকারের মাধ্যমে দুটি বাস তোলার কাজ চলছে। তবে কেটিএল বাস থেকে আরকে জুট মিলের এক অফিসারের কাছে থাকা ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে থানার সার্কেল ও ওসির উপস্থিতিতে ওই টাকাগুলো জুট মিলের কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর ৭ জন যাত্রীকে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অল্প আহত বাকী যাত্রীরা আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঘটনার পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক, কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত ও কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার গোলাবাড়ি এলাকার ছফির উদ্দিন (৬০), চৌড়া কাজীবাড়ির কাজী নুরুজ্জামান (৫৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রঞ্জন (৩৪), হবিগঞ্জের লাখাই এলাকার মো. বদির মিয়া (৭০), গোপালগঞ্জের মো. সিরাজ মিয়া (৩৫), পাবনা চরদাসপুরের অজিত (৪৫) ও পাবনা জেলার অজ্ঞাত একজন। আহত অন্য যাত্রী টঙ্গী ও উত্তরার আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।