গৌতম কুমার মহন্ত, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে চলতি মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করছে চাষীসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি হাট বাজারে নতুন আমন ধানের নায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষাণ কৃষাণীদের মুখে হাসির ফুয়ারা বইছে। সেই সাথে উপজেলার প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে চলছে নবান্নের উৎসব। উপজেলার প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে ধান কাটা ও মাড়ায়ের ধুম পড়ে গেছে। কৃষাণ কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে। মৌসুমের শুরুতে আমন ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিলেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষকদের ওই ক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় কীটনাশকসহ অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রায় কোন প্রভাব পরবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান। ২০ নভেম্বর বুধবার উপজেলা সদরের ধানের হাটে কাটারি ভোগ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০ টাকায় প্রতিমণ এবং স্বর্না-৫ ৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা প্রতিমণ ধান বিক্রয় করতে দেখা গেছে কৃষকদের। এ হাটে ধান বিক্রয় করতে আসা উপজেলার ঝলঝলিয়া গ্রামের কৃষক আইজুল ইসলাম, পাটকাটি শিবপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম, আলিপুর গ্রামের কৃষক আহম্মেদ আলী, আসা করছেন চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। তারা একই সঙ্গে আশাবাদী উপজেলার হাট বাজার গুলোতে বর্তমানে যে দামে আমন ধান ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে তা যেন মৌসুমের শেষ পর্যন্ত যেন থাকে। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিংয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানান ওইসব কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ২৭ হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও কৃষকরা এর অতিরিক্ত মাত্রায় জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করে উপজেলা কৃষি অফিসার শ্রী অরুন চন্দ্র রায় জানান, কৃষকরা এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি হাট বাজার গুলোতে নায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।