আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গত চারদিন যাবৎ শৈত্য প্রবাহে দেশের উত্তর জনপদের নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় ঘন কুয়াশায় ও শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেছে। উত্তরের জনপদে জেঁকে বসেছে শীত, হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আত্রাই নদী ও বিল অঞ্চলে শীতের প্রকোপ অনেকটা বেশি। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট বড় নানা ধরনের দূর্ঘটনা রাস্তাঘাটে ঘটেই চলেছে। গত পহেলা জানুয়ারি সকাল থেকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সড়কগুলোতেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন লোকজনের দেখা মিলছে না।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের দিনমজুর নাজিম উদ্দিন, শিরুপাল, আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্বল্প আয়ের চা দোকানি বাবলু বলেন, বিক্রির অভাবে পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ীরাই।
ভবানীপুর গ্রামের দিনমজুর বাবলু বলেন, এ ঘন কুয়াশায় আমরা কাজে যেতে পারছি না। দিনের অধিকাংশ সময়ই কুয়াশা থাকছে। এ কারণে জরুরি প্রয়োজন আর অফিসগামীরা ছাড়া রাস্তায় কেউ বের হচ্ছেন না। আয় করতে না পারায় ভোগান্তিতে আছে অনেকেই।
গত কয়েকদিন থেকে সকাল থেকে হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় এবং তাপমাত্রা নেমে আসে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে এবং তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় রাতে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। তাই রাত যত গভীর হয় শীতের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পায়। শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। কৃষকেরা চেষ্টা করছে তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরী চাদর দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে দেখা গেছে। শীতজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন। অন্যদিকে গৃহপালিত পশু লালন পালনে সমস্যার কারণ হয়েছে। অনেকেই আবার কর্মহীনতায় পড়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। আত্রাই উপজেলায় সরকারিভাবে ও বিভিন্ন সংস্থা শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তা একেবারে অপ্রতুল। এসব এলাকায় আরও শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরি হয়ে পড়েছে।