সোহেল রানা,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লঙ্গুরপার ছড়ার অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে কয়েক এক হাজার একর জমিতে বোরো ধান চাষ ব্যাঘাত ঘটছে। লঙ্গুর পার ছড়ার উপর অপরিকল্পিত ভাবে গত ২০০৫/৬ অর্থ বছরে প্রায় ৮৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি গেট সংযুক্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ছড়ার আয়তনের চেয়ে দুই গেটযুক্ত ছোট বাঁধ নির্মানের কারনে প্রতিবছর বন্যায় ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি গেট দিয়ে প্রভাবিত হতে পারে না, অতিরিক্ত পানির স্রোত বাঁধের উপর ও দুই পাশ দিয়ে যাওয়ার কারনে বাঁধের পাড় সহ পাশে থাকা লংগুরপার সামাজিক কবরস্থানে ভেঙ্গে যায়। বাঁধ নির্মানের পর থেকে বাঁধের পাশ ভরাট ও সংস্কার না করার ফলে কৃষকরা বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। লংগুরপার ছড়ার পানি দিয়ে, বাল্লার পাড়, উজিরপুর, রাজারগাঁও, বালিগাঁও, রামপাশা, কান্দিগাঁও, লংগুরপাড় গ্রামের বরগা চাষী সহ প্রায় ৭০০ জন কৃষক কয়েক হাজার একর জমিতে বোরোধান চাষ করেন। কিন্তু লংগুরপার ছড়ার বাঁধ সংস্কার না করার কারনে তারা বোরো চাষ করতে পারছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক বিশেষ করে বরগা চাষীরা, মহাজনের (জমির মালিক) ধান পরিশোধ করতে পারছেন না, ঋণগ্রস্ত কৃষক দিশেহারা হয়ে দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন। লংগুরপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মছবির আলী বলেন, সরকার সাধারন মানুষের উপকার হওয়ার জন্য এই সুইস গেইট নির্মান করেছে। কিন্তু এই প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অপরিকল্পিত ভাবে বাদ নির্মানের জন্য সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার কারণে এই সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বোরো চাষসহ নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার এলজিআরডির প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টির সর্ম্পকে এই প্রকল্পের পরিচালক অবতগত আছেন। এছাড়াও আমরা বাধটি পূনরায় বড় করে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট র্কতৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাশ হয়ে আসলেই আমরা কাজ শুরু করবো।