জামালপুর প্রতিনিধি : গ্রামীণ অর্থনীতি ও গ্রামীণ মহিলারা স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে উন্নতজাতের মুরগি পালন শুরু করেছে। উন্নতজাতের মুরগি পালন করায় অধিকাংশ গ্রামীণ মহিলা স্বাবলম্বী হয়েছে পাশাপাশি বেকার যুবসমাজ উন্নত জাতের মুরগি পালনে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা হলেও পশু সম্পদ পালনে বেশ এগিয়ে রয়েছে। এ উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই যেখানে উন্নতজাতের মুরগি পালন না হচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকান ব্রাহামা সাদা, আমেরিকান ব্রাহামা লাল, ব্রাহামা বাফ সিল্কি সাদা, সিল্কি কালো, সিল্কি গোল্ডেন, পালিস কাপ, ফিজেল, ফাইটার, গোল্ডেন ব্রাইট, স্যারোমা জাতের মুরগি পালন হচ্ছে।
সরেজমিনে শ্রীপুর, বাঁশচড়া, রানাগাছা, সাহাবাজপুর, ইটাইলসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন মহিলা উদ্যোক্তার সাথে। তারা জানান, যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা উন্নতজাতের আমেরিকান ব্রাহামা লাল, ব্রাহামা সাদাসহ আরো বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করছে। এসব মুরগির ব্যাপক চাহিদা। তারা আরো বলেন, উন্নতজাতের মুরগি পালনে খরচ বেশি হলেও দাম ভালো পাওয়া যায়। যার জন্যে অনেকেই উন্নতজাতের মুরগি পালন করছে।
উন্নতজাতের মুরগি পালন মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উপজেলাগুলোর এমন বাড়ি নেই যেখানে উন্নত জাতের মুরগি পালন না হচ্ছে। উন্নতজাতের মুরগি পালন করে অধিকাংশ যুব মহিলার আত্মকর্মসংস্থান ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।